টাকার বিনিময়ে অস্ত্র ও ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে র্যাবের হাতে আটক হন আবুল হোসেন
টাকার বিনিময়ে অস্ত্র ও ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে র্যাবের হাতে আটক হন আবুল হোসেন
চট্টগ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রথম স্ত্রী ও ছেলেকে অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ জন্য ভাড়াটে লোক দিয়ে স্ত্রী-সন্তানের ঘরে অস্ত্র ও ইয়াবা রেখে র্যাব দিয়ে ধরানোর চেষ্টা করেন ইউসুফ নামে এক ব্যক্তি। টাকার বিনিময়ে এমন কাজ করে গ্রেফতার হওয়া আবুল হোসেন (৩৯) এসব তথ্য দিয়েছেন। গ্রেফতার আবুল হোসেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলার আমিন কোড়ালপাড়ার মৃত আবদুল হাকিমের ছেলে। বর্তমানে তিনি নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন রাস্তার মাথা মোহরা এলাকার বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) র্যাবের পাঠানো এক প্রেস বিজ্জপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার দিবাগত রাতে নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন পশ্চিম মোহরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার আরও জানান, চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানার পশ্চিম মোহরা দেওয়ান মহসিন সড়কের নাসরিন আক্তারের বসতঘরে ইয়াবা ও অস্ত্র-গুলি আছে বলে খবর পাওয়া যায়। ওই তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের একটি টিম তথ্য প্রদানকারী আবুল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে নাসরিন আক্তারের ঘরে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ঘরের ফলস্ ছাদ থেকে একটি শপিং ব্যাগের ভেতর রাখা ওয়ান শুটারগান, একটি পাইপগান, এক রাউন্ড কার্তুজ এবং ওই কক্ষেরই একটি ওয়্যারড্রোবের ভেতর থেকে দুই হাজার ২৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
তবে ঘরের মালিক নাসরিন আক্তার এসবের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেন। এ সময় প্রতিবেশীরাও নাসরিন আক্তারকে সহজ-সরল নারী বলে দাবি করেন। তিনি এমন ঘটনায় জড়িত নয় বলেও দাবি করেন তারা।
পরে র্যাব তথ্যদাতা আবুল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন, টাকার বিনিময়ে নাসরিনের স্বামী ইউসুফের নির্দেশে অস্ত্র ও ইয়াবা দিয়ে তাদের ফাঁসানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। ইউসুফ ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী কোহিনুর আক্তার এ ঘটনার পরিকল্পনাকারী। চুক্তি অনুযায়ী ইউসুফ ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী আবুল হোসেনকে তিন লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল।
র্যাব জানায়, এ ঘটনায় অস্ত্র সরবরাহকারী আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে পালিয়েছে মূল পরিকল্পনাকারী নাসরিন আক্তারের স্বামী ইউসুফ এবং তার দ্বিতীয় স্ত্রী কোহিনুর আক্তার
পাঠকের মতামত